article-02 [ Mashrafi Mahin]

09.02.2023

হাস্যকর কাহিনী

আজকে একটা হাস্যকর মজার গল্প বলছি। গল্পটা কিন্তু একটা পিকনিক( বনভোজন )-কে নিয়ে। তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
আমার বাবা গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষকতা করেন। তাদের স্কুল থেকে প্রায় প্রতিবছরেই একটা পিকনিকের আয়োজন করা হয়। অর্থাৎ বাইরে কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। তাই প্রতিবছরের মতো এবছরও তারা পিকনিকের আয়োজন করেছেন। স্পট সিলেক্ট করেছেন রাজশাহীর ‘ জিয়া পার্ক ’।
এখন আপনারা বলতে পারেন এইসবের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা কি? হ্যাঁ, আমি সেটাও বলছি। স্বাভাবিক ভাবে আমি শিক্ষকের ছেলে হওয়ায় আমিও এতে অংশগ্রহণ করার একটা সুযোগ পেয়েই থাকি। করেছিও প্রতিবার। কিন্তু এবছর আর করা হয়নি। কারন আমি জানতাম-ই না এবছরও পিকনিকের আয়োজন করা হয়েছে। আমার বাবা আমাকে বলেছেন পিকনিকের ঠিক একদিন আগে। আমি তখন প্রায় হতভম্ব হয়ে যাই। ভালো কথা, আমার বাবা কিন্তু গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষক। সুতরাং আমি ভাবলাম অনেক ‘ যাবো’ কি ‘যাবো না’। তারপর আমি সিদ্ধান্ত নিলাম , আমি যাবোনা এবার। এর পেছনে দুটি প্রধান কারণ ছিলো।
প্রথমত, আমি এখন কলেজে উঠেছি। সুতরাং আমি স্টুডেন্টদের মধ্যে সবথেকে বড়। যেটা ছিল একটু হাস্যকর। সুতরাং এটা আমার নিজের কাছেই সংকোচ বোধ লাগছিলো। তাই নিজের বাবাকে বলে দিয়েছিলাম আমি যাবো না।
দ্বিতীয়ত, এটা ছিলো গার্লস স্কুকের পিকনিক। সুতরাং একজন সুস্থ মানুষের স্বাভাবিকভাবেই যাওয়া উচিত না। তাই আমি যাইনি। আমার জীবনে শেষ পিকনিক ছিলো ২০১৮ সালে বাবার স্কুলের সাথে। আমি সেদিনই ভেবেছিলাম বাবার স্কুলের সাথে এটাই হয়তো আমার শেষ পিকনিক। আর কখনো হয়তো যাওয়া হবেনা। এখন আমি বুঝছি আমি সেদিন একদম ঠিকই ভেবেছিলাম। এটা ছিল একটা সৎ সিদ্ধান্ত।
আমি জানি গল্পটা যদিও হাস্যকর। তবুও এর মধ্যে একটা লজিক আছে। যেটা সবাই অনুমান করতে পেরেছে বলে আমি আশা করি। ধন্যবাদ……

©Article arranged & written by
Mashrafi Mahin